রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বস্তরে নারী সদস্য অন্তর্ভূক্তিতে নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতাকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মন্তব্য করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। তাই ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান শিথিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসহ কমিশনের কাছে ১১ দফা জানিয়েছে তারা।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপে অংশ নিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নির্বাচন ভবনে আসে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। প্রায় দেড় ঘণ্টার সংলাপ শেষে প্রতিনিধিদলের নেতা এবং দলীয় মহাসচিব মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী তাদের বক্তব্যের সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত প্রগতিশীল দেশেও দলের সর্বস্তরে নারী সদস্য রাখার এমন বিধান নেই। দলগুলো নিজেদের প্রয়োজনে নারী সদস্য নির্ধারণ করবে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অতি উৎসাহ দেখানোর প্রয়োজন নেই।’
সাংগঠনিক এই বিষয় ছাড়াও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আর ১০টি বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন বলে জানান জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘দলীয় সরকারের অধীনে এ পর্যন্ত হওয়া সব নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা নির্বাচনগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চেয়ে কাসেমী বলেন, ‘দলীয় ক্যাডার ও সন্ত্রাসীদের থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচন পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেছি।’
এসব দাবি ছাড়াও অবৈধ নাগরিকদের ভোটার না করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে অংশ নেয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।