দেশের ইতিহাসে স্থানীয় পর্যায়ে প্রথম রাজনৈতিক নির্বাচনে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিন নারী। অন্য মেয়রদের চেয়ে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা আরো বড় হলেও ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণে সবকিছু করার অঙ্গীকার করেছেন তারা।
৩০ ডিসেম্বর দেশের ২শ’ ৩৪ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো হয়ে গেলো নৌকা ও ধানের শীষের ভোট লড়াই। এর মধ্যে নাটোর সদর, সিরজগঞ্জের বেলকুচি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চার নারী প্রার্থী। তারা সবারই প্রতীক ছিলো নৌকা। চার নারীর মধ্যে নির্বাচিত হতে পারেননি শুধু রাজশাহীর চারঘাটের নার্গিস আক্তার।
তবে সাফল্য পেয়েছেন কাছের নাটোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের উমা চৌধুরী জলি। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ওই পৌরসভায় হাজারো সমস্যা। সবার সহযোগিতায় সমস্যাগুলো দূর করে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি তার।
তিনি বলেন, নাটোরে রাস্তাঘাটে বেহাল অবস্থা, জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে সবাই বিশ্বাস রেখে আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের উন্নয়নে সব চেষ্টা আমি করবো।
পৌরবাসীর প্রত্যাশা, রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা মেয়র উমা চৌধুরী পৌরসভার উন্নয়নে সফল হবেন।
উত্তরবঙ্গেরই আরেক পৌরসভা সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আশানূর বিশ্বাস। দু’বারের সফল ইউপি চেয়ারম্যানও তিনি। তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচির উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আশানূর।
তিনি বলেন, নারী হিসেবে না একজন মেয়র হিসেবে এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। আমাদের পৌরসভাবে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় পরিণত করবো।
পৌরবাসীর প্রত্যাশা নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়নে নারী মেয়ররা আরো বেশি কাজ করবেন।
এই দুইজনের বাইরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন হাসিনা গাজী।