নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্দিনগর এলাকায় দুজন নারী-পুরুষকে বেঁধে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে জাফর নামে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক অর্ধশত মানুষের সামনে তাদের মারধর করে।
এ সময় অভিযুক্ত পুরুষ শ্রমিকের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
দুই খণ্ডে মোবাইলে ধারণকৃত ৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়: মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে পুরুষটিকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এবং নারী শ্রমিকটিকে ওই গ্রাম্য ডাক্তার জাফর একটি লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করছে। এভাবে দফায় দফায় অভিযুক্ত নারী ও পুরুষকে মারধর করা হয়। পল্লী চিকিৎসক জাফরের সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর, ইয়ার আহাম্মদ, সেলিম, গিয়াস উদ্দিনসহ আরো কয়েকজনও তাদের মারধর করে।
ভিডিওটি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌঁছার পর খবর নিয়ে জানা যায়: নির্যাতিত পুরুষ শ্রমিক জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনি নোয়াখালী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে নির্যাতিত শ্রমিক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান যে তিনি নারী শ্রমিকের কাছে দুই হাজার টাকা পাবেন। টাকার জন্য নারী শ্রমিকের বাসায় গেলে গেলে স্থানীয় কিছু লোকজন তাকে এবং ঐ নারীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের ওই নারী ও তার মা অনুরোধ করলেও তারা তাদেরকে ছেড়ে দেয়নি। একই সঙ্গে ওই নারীকেও নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আনোয়ার হোসেন জানান: পল্লী চিকিৎসক জাফরসহ ৪ জনকে আসামি করে নির্যাতিত নারী থানায় মামলা করেছেন। নির্যাতনকারী জাফরকে বুধবার দুপুর ২টায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।