চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘নারী নিপীড়নের বিচার চেয়ে নারীরাই পুলিশি নিপীড়নের শিকার’

পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিপীড়নের বিচার চাইতে যাওয়া নারীদেরকেই পুলিশি নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূূূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাম নেতারা। তা না হলে ছাত্র সমাজ কঠোর কর্মসূচি দিলে তার দায়ভার পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা তাদের ওপর গতকালের পুলিশি হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে বামছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, গতকালের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে যে নারীর ওপর পুলিশকে চড়াও হতে দেখা গেছে সে নারায়ণগঞ্জ ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী ইসমত জাহান জো।

পুলিশের হামলায় ফারজানা আক্তার নামের তাদের আরেক নারী কর্মী আহত হয়ে এখন হাসপাতালে আছেন বলেও জানান তিনি।

ছাত্রসংঠনের নেতাকর্মীদের ওপর এভাবে পুলিশের হামলাকে সরকারের ‘স্বৈরাচারী’ আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলেছেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক। নারী কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ বলে দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সমাবেশের বক্তারা বলেন, বৈশাখের ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার দায় স্বীকার করেনি। উল্টো ওই ঘটনার বিচার দাবীকারীদের ওপরই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।

ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম জ্বিলানী শুভ বলেন, পুলিশ দোষীদের ধরতে পারেনি। এমনকি ওইদিন যৌন হয়রানির ঘটনা আদৌ ঘটেছে কি না তা নিয়ে মিডিয়ার সামনে সংশয় প্রকাশ করেছে। ফুটেজ পরীক্ষার নামে তারা সময়ক্ষেপণ করছে। এজন্য ডিএমপি’র জবাবদিহিতার জন্যই ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও করা হয়েছিল বলে দাবি করেন  তিনি।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীব উদ্দিন খান, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা মঞ্জুরুল মঈন, গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী জলি আক্তার প্রমুখ সংহতি প্রকাশ করেন।

সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস এলাকা প্রদক্ষিণ করে।