নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বাধা পরিলক্ষিত হয়, এর অন্যতম প্রধান বাধা হচ্ছে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: নারীদের শুধু শিক্ষা দিলেই হবে না, তাই আমরা সরকারে এসে বিভিন্ন পদে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। প্রথমেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ নারীদের চাকরির সুযোগ করে দেই। কারণ নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি দরকার।
বিভিন্ন সেক্টরে মেয়েদের অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন: আমরা চাই মেয়েরা বিনিয়োগ সেক্টরে এগিয়ে আসুক। এখন বাংলাদেশের সব জায়গায় মেয়ের অবস্থান রয়েছে। পার্লামেন্টে সব জায়গায় মেয়েদের অবস্থান। ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েরা ভালো করছেন। স্বর্ণ পেয়েছেন। এসএ গেমসে মেয়েরা স্বর্ণ জয় করেছে।
এছাড়াও নানা ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতি রয়েছে। শিক্ষা থেকে খেলাধুলা, এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে নারীরা সফলতার সাক্ষর রাখছে না। তবে সাফল্যের এই গল্পের পেছনে হাজারও বাধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতার ঘটনাও রয়েছে।
এটা স্বীকার করতে হবে যে, সমাজে এক ধরণের পরিবর্তন এসে গেছে। নারীদের শিক্ষাসহ ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এখন তেমন কুসংস্কার নেই। বাল্যবিবাহ নিরোধও অনেকটা ইতিবাচক। জনসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। এরপরও কিছু প্রতিবন্ধকতা এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে নারীদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: ‘মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে ও আরও এগিয়ে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রীর এই প্রত্যাশার সঙ্গে আমরাও আশাবাদী। নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ, এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সহয়তা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে দেশ আরও অনেকখানি এগিয়ে যাবে। তবে এ বিষয়ে সবার ইতিবাচক মানসিকতা ও অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি জরুরি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারীদের অগ্রগতির মাধ্যমে দেশ আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে বলেই আমাদের আশাবাদ।