চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নারীবাদের ভূত তাড়াতে বিশেষ পূজা

বছরের পর বছর ধরে নারী অসম্মানিত ও বঞ্চিত হয়ে আসছে। মানব সভ্যতার শুরুতেই নারীর মর্যাদা অনেক উঁচুতে ছিল। কিন্তু পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর থেকে আজ অবধি নারী লড়াই চালিয়েই যাচ্ছে নিজেদের অধিকারের প্রশ্নে।

নারীবাদ এমন একটি আর্দশ যা নারীদের মৌলিক অধিকার এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে সমতা দাবি করে। এটি বিশ্বজুড়ে নারীদের অর্থনৈতিক ও মানসিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলে।

কিন্তু মজুরি সহসব জায়গায় নারীর সমতা এখনো বড় রকমের সমস্যা। কর্মক্ষেত্রে এখনো নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়।

যদিও বিশ্বব্যাপী মি-টু প্রচারণার মতো যৌন হয়রানি বিরোধি প্রচারণা চলেছে। তবু যৌন হয়রানি থামে না। এরপরও কিছু লোক এখনও পৃথিবীর সমস্যার জন্য নারীদের দায়ী করে এবং ‘এফ’ শব্দটিকে ঘৃণা করে থাকে।

এমনই এক উগ্রবাদী চিন্তা প্রকাশ্যে এসেছে ভারতে। নারীবাদীদের অবসান রচনা করতে দেশটির কর্ণাটকের আয়োজন করা হয়েছে ‘পিসাচিনিমুক্তি পূজা’, নামে নারীবাদী অবসানে পূজা। এটাকে নারীবাদী ভূত তাড়াতে পূজা হিসেবে দেখছে তারা।

অনুষ্ঠানটি ‘সেভ ইন্ডিয়ান ফ্যামিলি’ নামে একটি পুরুষবাদী সংগঠন আয়োজন করে তাদের দাবি, লিঙ্গ সমতা প্রচারের নামে নারীবাদীরা পারিবারিক সম্প্রীতিতে আঘাত হানছে।

এই বিষয়ে সংগঠনটি একটি  প্রচারপত্র  টুইটার, হোয়াটসআপ গ্রুপে শেয়ার করেছে, যেখানে সংগঠনটির ওই পূজার ভেন্যু এবং তারিখসহ বিস্তারিত বর্ণনা করেছে।

তারা বিশ্বাস করে যে, এই পূজার মাধ্যমে তারা ভারতের পারিবারিক সম্প্রীতি এবং প্রকৃত লিঙ্গ সমতার প্রচার করবে। এক্ষেত্রে সংগঠনটি সমগ্র ভারতের পুরুষদের সহযোগিতার জন্য হেল্পলাইন নাম্বার শেয়ার করেছে।

কর্ণাটকে হওয়া এই পূজাকে কিছু দিন আগে হয়ে যাওয়া ‘১১তম জাতীয় পুরুষ সম্মেলন, নাগপুরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

তাদের এই প্রচারণাকে মি-টু আন্দোলনের বিপরীত বলেও ধরা হয়। তাদের দাবি, মি-টু আন্দোলন হলো একপক্ষীয় একটি কাজ, যার মাধ্যমে অনেক ভারতীয় নিরাপরাধ পুরুষ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়।