নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। তবে, আগের রাতে ভোটের বাক্সে সিল মারা বন্ধে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে কেন্দ্র সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি। জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তিনি ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন। আবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিসহ প্রশাসন ও আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। সব নির্বাচনের আগে এটি রেওয়াজ বৈঠক হলেও নির্বাচনী পরিস্থিতির অনেককিছু উঠে আসে এই বৈঠকে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার সভা শেষ করে সিইসি বলেন, নারায়ণগঞ্জ এখন উৎসবমুখর। সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। সাধারণত চুরি-ডাকাতি নিয়ে থানায় যেসব মামলা হয় এখন সেই সংখ্যাটাও এই সময়ে অনেক কম। পরিস্থিতিও অনেক স্বাভাবিক রয়েছে, তবে পরিস্থিতি আমরা কঠোরভাবে পর্যালোচনা করবো। কোনো পর্যায়েই আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
তবে বিগত নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা বন্ধে কেন্দ্রগুলোকে কঠিন সুরক্ষা দেয়ার কথা জানান সিইসি। বলেন, যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের অত্যন্ত স্পষ্ট ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে আগের রাতে কোনো ধরনের জোরাজুরি সহ্য করা হবে না। তার জন্য কেন্দ্রে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হবে। সতর্ক অবস্থায় থাকবে অন্য পেট্রোলরা যেন তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেন। এবং দুস্কৃতিকারীদের সংখ্যা যতই হোক তারা যেন কোনোভাবেই কেন্দ্রে প্রবেশ করে কোনো সমস্যা করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু রাতেই নয় সারাদিন কেন্দ্রকে সুরক্ষিত রাখার ইন্সট্রাকশনও দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য হবার পরও শামীম ওসমান নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে আচরণবিধি লংঘন করেছেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আইনের লংঘন হলে কেউ পার পাবে না।