নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল এলাকায় চারতলা ভবন ধসে নিখোঁজ শিশু ওয়াজেদ ২০ ঘণ্টা পরও উদ্ধার না হওয়ায় পরিবার ও স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিখোঁজ শিশু ওয়াজেদের বাবা জহিরুল ইসলাম রুবেল তার সন্তানকে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বিরামহীন কাজ করছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন: ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি বলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় নিহত শিশু সোহেবের দাফন রোববার রাতেই সম্পন্ন হয়েছে।
ভবন ধসের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহানা আক্তারকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মো.জসিম উদ্দিন। কমিটিকে আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে রাজউক-৮ এর পরিচালককে। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক, পুশিল সুপারের প্রতিনিধি, জেলা সিভিল সার্জন, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ১নং বাবুরাইল মুন্সিবাড়ি এলাকায় এইচএম ম্যানশন নামে একটি চারতলা ভবন ধসে পিছনের খালের উপর পড়ে যায়। ভবনের তিনতলা সম্পন্ন হলেও চার তলার নির্মাণ কাজ চলছিল। বিকেলে হঠাৎ বিকট শব্দে ভবনটি পড়ে গেলে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এতে সোহেব নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়। নিখোঁজ রয়েছে নিহতের খালাত ভাই ওয়াজেদ।
তারা দু’জনই রাবুরাইল বেপারীপাড়া এলাকার সানরাইজ মডেল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। আরবী শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে তারা এ দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ এলাকাবাসী উদ্ধার কাজ শুরু করে।