নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার উত্তর লক্ষণখোলা এলাকায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন।
ওই মহল্লার সোহেল মেহেদী নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে সিটি মেয়র ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, লক্ষণখোলা মৌজায় তফসিল অনুযায়ী সাড়ে ১৩ শতক জমির মালিক তার পিতা মৃত আব্দুল মোমিন। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকেই একই মহল্লার কাজী শামসুল হক, আব্দুল হাই, আকতার হোসেন গং ওই জমির সিংহভাগ দখল করে আছে। এরপর পারিবারিক শালিসের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের অক্টোবরে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা বৈঠক করে, কাগজপত্র অনুযায়ী নতুন করে জমি পরিমাপ করে তাদের নালিশা অংশ বুঝিয়ে দিতে বললেও প্রভাবশালী হওয়ায় সেই জমি বুঝিয়ে দেননি।
এমন অবস্থায় এলাকাবাসীর চলাচলের স্বার্থে সিটি করপোরেশন রাস্তা পাকা করার সিদ্ধান্ত নিলে- সোহেল মেহেদীর জায়গার মাঝখান বরাবর রাস্তা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন স্থানীয় ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন।
সোহেল মেহেদী তার জমির একপাশ দিয়ে রাস্তা নেওয়ার অনুরোধ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। উপায়ন্তুর না পেয়ে আদালতে মামলা করেন সোহেল মেহেদী।
পরে ওই বিরোধকৃত জমিতে কোন কাজ না করতে ৬ মাসের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন জোরপূর্বক রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করে।
এ ব্যাপারে নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন চ্যানেল আইকে বলেন, রাস্তাটি যদিও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার ওপর দিয়ে গেছে। কিন্তু এটি দীর্ঘদিন থেকেই জনগনের চলাচলের রাস্তা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অভিযোগকারী সোহেলের বাবা, চাচারাও কখনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। তারা জনগণের চলাচলের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। আর সোহেলের ব্যক্তিগত জায়গার ওপর কোন রাস্তা হচ্ছে না। জমি জমা নিয়ে কোনো বিরোধ থাকলে সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়। উচ্চ আদালতের কোনো নোটিশ আমাদের হাতে আসেনি। নোটিশ পেলে অবশ্যই আইন মেনে চলব। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।