রুমন রেজা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩০ জনকে আটক করে।
এক ঘণ্টা সংঘর্ষের সময় সুমন মিয়া নামে এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কাঞ্চন ব্রীজের পশ্চিমপাড় এলাকায় সকাল সাড়ে দশটা থেকে ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল ছুঁড়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নিহত সুমন উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধবপুর এলাকার মনু মিয়ার ছেলে। সে যুবলীগের কর্মী ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সকালে আওয়ামী লীগের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (আন্ডা রফিক) গ্রুপের নেতাকর্মীরা এশিয়ান হাইওয়ের কাঞ্চন সেতরু পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়।
এসময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রুপের নেতাকর্মীরা একই স্থানে অবস্থান নিলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। পরে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এক পক্ষ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।