নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ২ বছর পূর্ণ হলো আজ। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণে সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে বিচারকাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ করেছে বাদী পক্ষ। ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দাবি, কম সময়ের মধ্যেই মামলার কাজ শেষ হবে। হত্যার ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী এবং আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আলাদা মামলা দায়ের করেন।
সাত খুনের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত হয় স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। বেরিয়ে আসে র্যাবের ৩ কর্মকর্তা, নূর হোসেনসহ ২৩ জনের নাম। ঘটনার এক বছর পর ৩৫ জনকে আসামী করে চার্জশীট দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলেও নূর হোসেনের দীর্ঘ সময় বিদেশে পালিয়ে থাকাসহ অন্যান্য জটিলতায় বিচারকাজে সময় নষ্ট হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, মানসম্পন্ন তদন্ত করা হয়েছে। এজন্য আমরা আশা করি রায়ে তা প্রতিফলিত হবে।তবে প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকিতে বিচার কার্যক্রম নিয়ে শংকা বাদী পক্ষের। নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি জানান, আসামীদের পক্ষ থেকে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। তবে তারা আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিউটি।
চলতি বছরের মধ্যেই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার আশা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন । ন্যায়বিচারের আশা প্রকাশ করেছেন আসামী তারেক সাঈদের আইনজীবী এডভোকেট সুলতানুজ্জামান জানান।সাক্ষীরা ঠিকমতো সাক্ষ্য দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের আইনজীবীর।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান বলেন,‘ সাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। আসামীরা প্রভাবশালীও। সাত খুন মামলায় মোট ১শ’২৭ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ে বিচারকাজ শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা নিহতের স্বজনদের। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বিকেলে অপহৃত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। তিন দিন পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তির চর এলাকায়।