নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঁচটি করে নাম প্রস্তাব করতে সময় বাড়িয়েছে সার্চ কমিটি। নাম দেয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় ছিল। এখন তা চার ঘণ্টা বাড়িয়ে ওইদিন বিকাল ৩টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার বিশিষ্ট ১২ নাগরিকের সঙ্গে কমিটির বৈঠকের পর এ তথ্য জানানন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সার্চ কমিটির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
কমিটি আরও পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে সার্চ কমিটি।
বৈঠকে ডাক পাওয়া এ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক হলেন; সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. আবু হেনা, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুর রশিদ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
বৈঠক শেষে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেয়েছি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হোক যারা সবার কাছে নিরপেক্ষ বলে গ্রহণযোগ্য হবে। একজন ব্যক্তির রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তু তাকে যদি সকলের কাছে রাজনৈতিক দলের লোক হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে কমিশনে আনা ঠিক হবে না।
এ বিষয়ে একটি আইন করারও তাগিদ দিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী মাসের ৮ তারিখে। যদি এই কমিশন এর মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সাংবিধানিক সংকটে পড়বে। এজন্যই আইন করা প্রয়োজন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া অ্যাডভকেট সুলতানা কামাল বলেন, সংকট কখনও নির্বাচন কমিশন তৈরি করে না। তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলো। এরজন্য তাদের নিজেদের আগে শুধরাতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য সবার মতো আমিও চাই যে যোগ্য এবং নিরপেক্ষ ব্যাক্তিরা যেন কমিশনে আসে। অতিরিক্ত সচিবের মতো লো-গ্রেডের কোনো কর্মকর্তাকে যেনো কমিশনে আনা না হয়।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আজ (সোমবার) বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা কমিটির বৈঠক চলে। আমন্ত্রণ পাওয়া ১২ বিশিষ্টজনের সবাই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন, শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী ও এস এম এ ফায়েজ, অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা, সাবেক দুই নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা।