নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করলেন রাকিবুল-তানজিমরা। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১৪৩ রান তুলতে সব উইকেট হারায় নেপালের যুবারা। টেবিলে ২ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে এখন টাইগার যুবারা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় ১৭ করে ফেরেন মাহফুজুল।
আরেক ওপেনার ইফতেখারকে নিয়ে দারুণভাবে এগোন নাবিল। ইফতেখার ২১ রানে ফেরেন। ২২ রানের ইনিংস আসে আইচ মোল্লার থেকে। পরে চতুর্থ উইকেটে বিশাল জুটি গড়েন নাবিল-ফাহিম।
১৭৯ রানের জুটিতে নাবিল হাঁকান শতক, ফিফটি পান ফাহিম। উইকেটকিপার ব্যাটার ফাহিম বেশি সময় থাকতে পারেননি। ফিরেছেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। ফেরার আগে করেছেন ৫৪ বলে ৫৮ রান। তিন চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন তিনটি ছক্কা।
ফাহিমের ফেরার পর ব্যাটিংয়ে খোলস ছাড়েন নাবিল। শতক ছাড়ানো বাঁহাতি ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১১২ বল থেকে ১২৭ রানে। ইনিংস সাজান এক ছয় ও ১১টি চারের মারে।
শেষদিকে ১৫ বলে তিন চারে ২১ রানের ক্যামিওতে বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করেন মেহরাব।
নেপাল বোলারদের কেউ বলার মতো পারফর্ম করতে পারেননি। টাইগার যুবাদের একটি করে উইকেট তুলেছেন গুলসান, তিলক ও আলম।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই খেই হারান নেপালি ব্যাটাররা। ১০ ওভারের ভেতর তাদের প্রথম তিন উইকেট তুলে নেন সাকিব-রাকিবুল।
পরে ছোট ছোট জুটিতে এগোতে থাকা নেপালিদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ান দুই স্পিনার মেহরাব-রাকিবুল। অধিনায়ক রাকিবুল ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রানে নেন দুটি উইকেট।
মাঝের দিকে কিছুটা লড়েন বিবেক মাগার। ৬০ বলে ৪ চারে ৩৩ করে ফেরেন রান আউটের ফাঁদে। শেষদিকে গুলসান ঝা ও বিবেক যাদব কিছুটা প্রতিরোধ করেন।
মেহরাব ১৪১ রানে যাদবকে নাঈমুরের হাতে বন্দি করার পর দ্রুতই শেষ হয় নেপালের ইনিংস। শেষ দুই রান তুলতে দলটি হারায় বাকি ৩ উইকেট। তিনশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্যে তারা থামে দেড়শ পেরোনোর আগেই।
নেপালকে অল্পতে গুটিয়ে দিতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন স্পিনার মেহরাব ও রাকিবুল। দুজনেই তুলেছেন দুটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার নাঈমুর ও সাকিবেরও।
‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, কুয়েত ও নেপাল। শনিবার কুয়েত যুবাদের বিপক্ষে লড়বেন রাকিবুল-তানজিমরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৮ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি টাইগার যুবারা।
আসরে দুই গ্রুপের সেরা দুই দল খেলবে সেমিফাইনালে। নতুন বছরের প্রথমদিন শিরোপার লড়াই।