‘২৮ জুন থেকে কঠোর লকডাউন শুরু’- শুক্রবার সরকারের এমন ঘোষণায় রাজধানী ছাড়তে শুরু করে মানুষ। তবে শনিবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে ব্যাংকের জুন ক্লোজিং ও আগামী অর্থবছরের বাজেট পাস; এই দুই কারণে সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আসে।
নতুন এই সিদ্ধান্ত জনসাধারণের কাছে না পৌঁছায় শনিবার রাতেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে। রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দেখা গেছে গ্রামমুখী মানুষের ঢল। গণপরিবহন না চলায় নানা উপায়ে রাজধানী ছাড়ছেন তারা।
তবে গার্মেন্টসহ শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক, পোর্ট, কাস্টমস কার্যক্রমসমূহও লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৬ষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা দিয়েছে। রোববার ভোর থেকে ফেরিতে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী হাজার হাজার যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটে সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। জোর করে যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যায়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছে।
২৮ জুন সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হলেও আগামী পয়লা জুলাই থেকে শুরু হবে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাতে এ বিষয়টি টেলিফোনে নিশ্চিত করেছেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।
সীমিত আকারের লকডাউনে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।