নাটোরে রোগীর দেহ থেকে কিডনি চুরির মামলায় জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে রোগীর শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত-১ এর বিচারক শামসুল আল-আমীন এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বকুল হোসেন জানান, এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারী একই আদালতের বিচারক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভিকটিম এবং বাদীকে স্বশরীরে আজকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আজ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিকটিম এবং বাদী স্বশরীরে আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে রোগীর শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার জন্য জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে নির্দেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর আগে পেটে ব্যাথা নিয়ে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ের জনসেবা হাসপাতালে ভর্তি হন সিংড়া উপজেলার ফজলু বিশ্বাসের স্ত্রী আসমা বেগম। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কিডনিতে পাথর ধরা পড়লে অপারেশন করান তিনি।
কিন্তু অপারেশনের পর থেকে আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্প্রতি একই হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডান পাশের একটি কিডনি না থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে নাটোর, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হলে কিডনি না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট ধরা পড়ে। এরপর দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসক, হাসপাতালের পরিচালক ও অজ্ঞানকারী চিকিৎসকের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম আসমা বেগমের স্বামী ফজলু বিশ্বাস ।