বাংলাদেশের দর্শকপ্রিয় সিনেমা হিসেবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ একটি মাইফলক। এরপর তিনি করলেন নিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘স্বপ্নজাল’। ছবিটি সেই অর্থে দর্শকপ্রিয়তা পায়নি। মুক্তির প্রতীক্ষায় আছে তার নির্মিত ‘পাপপুণ্য’ নামের আরেকটি ছবি। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত নিজের চতুর্থ সিনেমা ‘কাজল রেখা’ নিয়ে।
মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি চলচ্চিত্রেই একেবারে বাংলাদেশের নিজস্ব গল্প বলেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা ‘পাপপুণ্য’ ও তেমন একটি গল্প। এমনকি সরকারি অনুদান পাওয়া নির্মিতব্য ‘কাজল রেখা’ও একেবারে বাংলার নিজস্ব গল্প।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত শো ‘তিনশো সেকেন্ড’ এ নির্মাতা বলেন, আমাদের নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য আছে। আমাদের মতো করে, আমাদের ভঙ্গিতে এবং আমাদের গল্পটা সব সময়ই আমি চলচ্চিত্রে বলার চেষ্টা করেছি, টেলিভিশনেও তাই। আমি যদি মোঁপাসা কিংবা চেখভ থেকেও গল্প ধার করি, কিন্তু সেটা অ্যাডপ্ট করেছি আমাদের ভঙ্গিতে।
এই দেশে জন্মে, কাজ করে সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন? উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, বঙ্গে জন্মেই আমি কৃতার্থ। এ বিষয়ে আমার কোনো সংশয় নাই। বাংলাই আমার বিশ্ব। তবে সিনেমার ক্ষেত্রে আমাদের একটু দুর্ভাগ্য যে, সিনেমার রমরমা অবস্থাটা এখন আর নাই।
অন্যদিকে তার নির্মিত সিনেমাগুলোর কাস্টিং নিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বেশির ভাগই টেলিভিশন ঘেঁষা। নাটক কিংবা থিয়েটারের সাথে যুক্ত, কিংবা একেবারে নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এই নির্মাতাকে কাস্টিং নিয়ে এমন একটি প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়।
জবাবে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি চরিত্র অনুযায়ি কাস্টিং করতে। সে ক্ষেত্রে কোনো চরিত্র করতে যেয়ে যদি আমাকে শাকিব খানের প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে কাস্ট করতে আমার কোনো অসুবিধা নাই।’
প্রসঙ্গত, মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘পাপপুণ্য’র কাজ শেষ হয়েছে আগেই। গেল বছরেই মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এই ছবিটি চলতি বছরেই মুক্তি পাবে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ ও শাহনাজ সুমী প্রমুখ।