জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া বৃহস্পতিবার ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরো এক ধর্মনিরপেক্ষ কর্মী খুন, কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আরো একজন ধর্মনিরপেক্ষ কর্মীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এটা প্রমাণ করে যে, মানুষের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার চর্চাকে রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ।
বুধবার রাতে ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে পুরান ঢাকার ঋষিকেশ রোডে নিহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমউদ্দিন আহমেদ সামাদ। এখানো কেউ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি।
অ্যামনেস্টির সাউথ এশিয়ান ডিরেক্টর চাম্পা প্যাটেল বিবৃতিতে বলেন, ‘অন্য কোনো লাভ নয়, শুধু মনের কথা বলার জন্যেই নাজিমউদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কোনো যুক্তি হতে পারে না। এটা মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটি ভয়ানক আক্রমণ।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্বাধীন মতামত ও লেখালেখির জন্য ব্লগার ও প্রকাশসহ ২০১৫ সালে অন্তত আরো পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো হত্যাকারীকে ধরা এবং এ ব্যাপারে শক্ত নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। উল্টো ধর্মীয় আবেগের কথা চিন্তা করে ব্লগারদের ‘কার্জক্রম বন্ধ’ রাখতে বলেছে তারা। যার কারণে আরো অন্তত একডজন ব্লগার জীবনের ভয়ে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছে।
চাম্পা প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে সুনিশ্চিতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করতে হবে এবং এই গুরুতর, ভয়ংকর ও সহিংস চক্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এছাড়া ওইসব কর্মী এবং লেখক যিনি হুমকির সম্মুখীন তাদের রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।