রান তোলার চেয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকাতেই মনযোগী ছিলেন অভিষিক্ত নাঈম শেখ। উইকেটে থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলার আশাও দেখান। প্রচেষ্টার সলীল সমাধি ঘটিয়েছেন নিজ হাতেই। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা অধিনায়ক মুমিনুল হকও ফিরে গেছেন।
হ্যাগলি ওভালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৩ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই এখনও করতে হবে আরও ২৭২ রান।
লিটন দাস ৪ ও খানিক আগে নামা ইয়াসির আলী রাব্বি রানের খাতা না খুলে ক্রিজে আছেন।
নাঈম শেখ ৯৮ বলে এক চারে করে যান ২৪ রান। সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে বসেন। দ্বিতীয় স্লিপে ল্যাথাম বাঁ-হাতে উড়ন্ত ক্যাচ নেন।
৬৩ বলে ৪ চারে ৩৭ রানের ইনিংস খেলা মুমিনুল পেসার ওয়াগনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন। বাজে শট খেলার মাশুল দিয়ে প্রথম স্লিপে টেলরের হাতে বল তুলে দেন।
বোল্টের বলে লিটনকে আউট দিয়ে বসেছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নেয়ার পর দেখা যায় ব্যাটে নয়, লিটনের কাঁধে লেগে বল উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা পড়েছিল। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আসে বদল।
লিটনের মতোই জীবন পেয়েছেন রাব্বি। ওয়াগনারের বাউন্সারে হন পরাস্ত। ব্যাটের উপরের কানায় বল লেগে উঠে যায় গালিতে। ক্যাচ নিতে পারেননি নিকোলস। বল তুলে স্টাম্পে লাগানোর চেষ্টা করেন টেলর। রানআউট থেকেও রাব্বি বাঁচেন।
কিউইদের ৬ উইকেটে ৫২১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণার পর ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রদর্শনী দেখিয়ে ১২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে।
প্রথম ইনিংসে ১১.২ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট হারানো অতিথিরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায়। দুই ওপেনার সাদমান ও নাঈম স্বাগতিক পেসারদের সামলে সাবধানে ব্যাট চালাচ্ছিলেন।
সকালে পানি পান বিরতির আগেই সাদমান ভুল করে বসেন। জেমিসনের করা লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল অকারণে তাড়া করে বসেন। ব্যাটে লাগা বল বিপরীত দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতের ক্যাচে গ্লাভসে নেন উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেল। থেমে যায় ৪৮ বলে ৩ চারে ২১ রানের প্রচেষ্টা।
আউট থেকে বেঁচেছিলেন শান্ত। অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেছিলেন জেমিসন, মেরে বসেন খোঁচা। তৃতীয় স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেল দ্বিতীয় স্লিপে থাকা ফিল্ডারের সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে গেলে সফল হননি।
আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকা শান্ত লাঞ্চ বিরতির সাত মিনিট আগে ধৈর্য হারিয়ে বসেন। ওয়াগনারের লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল খেলতে যেয়ে খেসারত দেন। ফাইন লেগে বোল্ট দর্শনীয় ক্যাচে সফল হন। শান্ত ৩৬ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ২৯ রানে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন।