সার্টিফিকেটের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থানে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে নর্দান মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনায় কলেজের সকল ক্লাস স্থগিত রেখেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজের গেট তালাবন্ধ করে রেখেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের।
শিক্ষার্থীরাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ চিকিৎসা ও দন্ত পরিষদ (বিএমডিসি) থেকে অনুমোদিত ৫০ আসনের বিপরীতে পঞ্চম ব্যাচে ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাই পাশ করার পরও সার্টিফিকেট পাচ্ছেনা তারা।
গত দশ বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও প্রকৃত অনুমোদন নেই কলেজটির। কারণ হিসেবে জানায় যায়, কলেজ বিএমডিসি প্রদত্ত শর্তাবলী পালন না করায় অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা। এই ঘটনা পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।
এখন যারা পড়াশুনা করছে তাদেরও এই সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৮ম ব্যাচে অনুমোদিত ৬৫ আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে ৮০ জন।
অভিযোগ ছিলো বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যেও, তারা বলেন-এর আগেও টিভি রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের এই অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।
সম্প্রতি বেসরকারি মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ৭.৫% ভ্যাট বসানো হলে আদায় করা হচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি। আগে আমরা প্রতি মাসে ৯,০০০ টাকা দিলেও তা এবার এক লাফে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১,০০০ হাজার।
আবারও বৈদেশিক শিক্ষার্থী কোটাকে কাজে লাগিয়েও ব্যবসা চালাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, খুব একটা বেশি বিদেশী শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়না। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এমনিতে প্রথম ভর্তির সময় আমাদের ১৩ লাখ টাকা জমা দিতে হয়েছে। কিন্তু বৈদেশিক শিক্ষার্থীদের আসন গুলোতে যাদের ভর্তির করা হচ্ছে তাদের ভর্তি যোগ্যতার ন্যূনতম ১২০ পয়েন্ট নেই। তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কখনও কখনও সে অর্থের পরিমান দাঁড়ায় ২০-২৫ লাখ টাকা।