পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে নর্থ কোরিয়া।
ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপে দেশটির ভূমিকা আছে দাবি করে নর্থ কোরিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকেই এর মূল্য দিতে হবে।
শনিবার নর্থের বিরুদ্ধে আরোপিত নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বৈদেশিক আয় কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের এ নিষেধাজ্ঞা প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণেই নর্থ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ‘হাজার গুণ মূল্য পরিশোধ করতে হবে’ বলে হুমকি দিয়েছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সোমবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় আসিয়ান সম্মেলনে নর্থ কোরিয়ার মুখপাত্র বাং কোয়ান হিউক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে পরিস্থিতির অবনতি এবং পারমাণবিক ইস্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী।’
হিউক আরও বলেন, যতই অবরোধ আরোপ করা হোক, নর্থ কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ থেকে জানানো হয়, পিয়ংইয়াং তাদের আত্মরক্ষামূলক পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কখনোই আলোচনায় বসবে না।
শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নর্থ কোরিয়ার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটিতে বিনিয়োগের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
নর্থ কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা এবং পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।