আবারো নর্থ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে সাউথ কোরিয়া। বৃহস্পতিবার নর্থ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে এ ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয় বলে জানিয়েছে সাউথ কোরিয়ান সেনাবাহিনী।
পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে জাহাজে নিক্ষেপযোগ্য। বৃহস্পতিবার নর্থ কোরীয় উপকূলীয় শহর উনসান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা কর্মসূচিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নর্থ কোরিয়া।
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জারি করা নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে জাতিসংঘ। বর্ধিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে দেশটির চারটি প্রতিষ্ঠান এবং ১৪ কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ।প্রয়োজনে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার আওতা আরো বাড়ানো হতে পারে বলেও জানানো হয়।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে তৃতীয় সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় নর্থ কোরিয়া। স্বল্প দূরত্বের এবারের স্কাড মিসাইলটি উৎক্ষেপণের স্থান থেকে সাড়ে ৪শ’ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে গিয়ে জাপান সাগরে পড়েছিল।
এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছিল জাপান সরকার। দেশটির প্রধান ক্যাবিনেট সচিব ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জাপানের সাদো এবং ওকি দ্বীপের মাঝামাঝি ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন’ এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নর্থ কোরিয়া ওয়ারহেড (মিসাইলের বিস্ফোরণক্ষম সামনের অংশ) বহনে যোগ্য মিসাইল তৈরিতে আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নতি করেছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও নিয়মিত বিরতিতে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে নর্থ কোরিয়া। বরং সম্প্রতি এই পরীক্ষার সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে। এর আগে যে কোনো সময় দেশটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছিলো সাউথ কোরিয়া।