ক্যাপসিকামের নতুন জাতের উদ্ভাবন করেছেন নরসিংদীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র বারি’র উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ক্যাপসিকাম চাষের উপযোগি হওয়ায় কৃষকও ঝুঁকছেন এর চাষে।
২০১২ সালে ক্যাপসিকাম বারি-১ জাতের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন নরসিংদী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র বারি’র উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘ দিন ধরে নিবিড় পরিচর্যা ও গবেষণার পর সাফল্য আসে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই জেলায় ক্যাপসিকাম চাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (বারি)বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী মারুফ আহমেদ বলেন, ক্যাপসিকাম দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। সুপারমল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। সালাদ হিসেবে খাওয়া, নুডুলসে ব্যবহার করা যাচ্ছে, স্যুপে ব্যবহার করছে। এটা একটা সবজি।
কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে এর ব্যপক সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা কেন্দ্রের এই সাফল্য চাষোপযোগী বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম আরিফুল হক, জানান, আমরা কৃষি সম্প্রাসারণ কেন্দ্রের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করি। তবু তাদের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন আমাদের সর্বাত্মক সাহায্য করেন।যাতে আমরা এই ফসলকে খুব দ্রুত কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি।
ক্যাপসিকাম শুধু সবজি হিসেবেই নয় এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যান্সার প্রতিরোধক জিন থাকায় এটি মানুষের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।