রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন রীতি বদলে যাওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘পদ্মাপুরান’। তরুণ নির্মাতা রাশিদ পলাশ বলেন, শুটিং শেষ হয়েছে অনেক আগেই, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজও প্রায় শেষের পথে।
পরিচালক ও প্রযোজক এখন ঝুঁকছেন প্রচারণার দিকে। পরিচালক রাশিদ পলাশ জানালেন, পদ্মাপুরান ছবির প্রচারণায় সহায়তা করার জন্য যুক্ত হয়েছে ‘বিজনেক্সট প্লাস’ নামের একটি কমিউনিকেশন কোম্পানি। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে বনানী ক্লাবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসান শাহারিয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
রাশিদ পলাশ বলেন, আগামী নভেম্বরে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করছি। এই লক্ষ্যে এখন মার্কেটিংয়ের কাজটা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের সঙ্গে বিজনেক্সট প্লাস যুক্ত হয়েছে। আমি প্রতিষ্ঠানটির কাছে কৃতজ্ঞ।’
বিজনেক্সট প্লাসের সিইও অর্পিতা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কমিউনিকেশন নির্ভর কাজগুলো করে থাকি। যুক্ত হয়েছি পদ্মাপুরান ছবির সঙ্গে, এই ছবির প্রমোশনাল কাজগুলো আমরা করব।’
সিনেমা প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে যাচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্রও। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে পদ্মার যে রূপ দেওয়া আছে সেই রূপ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা মানিক বন্দোপাধ্যায়ের কুবের, মালা, কপিলাদের খুঁজার চেষ্টা করেছি এই সময়ের প্রেক্ষাপটে। সেই চরিত্রগুলো যদি এখনো বেঁচে থাকতেন তাহলে তাদের অবস্থান কী হতো? পেশায় বা কী হতো তাদের? এসবই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বলতে পারেন পদ্মার পাড়ের মানুষের জীবন চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ‘পদ্মাপুরান’ এ।
ইতিমধ্যেই ‘পদ্মাপুরান’ সিনেমার একটি স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেই স্থিরচিত্রের অন্তঃসত্ত্বা নারীটি সাদিয়া আফরিন মাহি। স্থিরচিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয়। এই সিনেমায় কপিলা চরিত্রে দেখা যাবে প্রসূন আজাদকে।
শম্পা রেজা অভিনয় করছেন শিখণ্ডী (তৃতীয় লিঙ্গ) সম্প্রদায়ের প্রধানের চরিত্রে। আর চম্পা অভিনয় করছেন একজন মাদক ব্যবসায়ীর ভূমিকায়। এ ছাড়া আরও আছেন সুমিত সেনগুপ্ত, জয়রাজ, কায়েস চৌধুরী, হেদায়েত নান্নু। এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন রায়হান শশী। প্রযোজনা করছে পুণ্য ফিল্মস।