কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন: যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। প্রকল্পের অগ্রগতি, মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সম্পর্কে তদারকি ও জানার জন্য মন্ত্রণালয়সহ সকল সংস্থা থেকে নবীন কর্মকর্তাদের বেশি বেশি মাঠ পরিদর্শনে পাঠাতে হবে।
কৃষি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিকায়ন উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মাসিক (সেপ্টেম্বর) এডিপি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন: তৈল বীজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য চরাঞ্চলে বাদাম ও সয়াবিনের আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে। বাদাম থেকে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ তেল পাওয়া যায়। সয়াবিন আমাদের দেশে পোল্ট্রি শিল্পে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এর উৎপাদন বৃদ্ধি করলে আমদানি হ্রাস পাবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ল্যাবগুলো অ্যাক্রিডিটেড করার উদ্যোগ গ্রহণ করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
কার্যক্রম গতিশীল করতে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা সবসময় থাকবে বলে জানান তিনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৫ টি প্রকল্পের অনুকূলে ১ হাজার ৭ শত ৩৯ দশমিক ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সকল সংস্থার বৃহৎ বরাদ্দ প্রাপ্ত ২৬ টি প্রকল্পের অনুকূলে ১হাজার ৪শ ৫১ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট এডিপি বরাদ্দের ৮৩ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমুহের অনুকূলে মোট ৭শ ৭টি দরপত্র আহবানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ২ হাজার ৭শ ১৫টি ময়েশ্চার মিটার সরবরাহের পদক্ষেপের মধ্যে ৯শ’টি ময়েশ্চার মিটার বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সচিব বলেন: কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এগুলোর জন্য অনেক কাজ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্পটি সংশোধন করে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। সকল প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়নেরও তাগিদ দেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।