হ্যারি কেনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এসেছেন হোসে মরিনহো। টটেনহ্যাম হটস্পার ফুটবলারদের সামনে তিনি বলেছেন, ‘আমি তোমাদের বাবা হতে পারি। বন্ধু হতে পারি। তোমাদের বান্ধবীও হতে পারি।’ নতুন এই স্লোগানের অর্থ ক্লাব নয়, আমি ফুটবলারদের সঙ্গে থাকতে চাই।
অতীতে খেলোয়াড়দের চেয়ে ক্লাবকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন মরিনহো। সেই স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন এনেছেন ‘স্পেশাল ওয়ান’। টটেনহ্যামের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়েছেন, ‘পুরোনো নীতি থেকে সরে এসেছি। অতীতের ভুল আর করতে চাই না। দলের ফুটবলাররা আমার প্রাণ। তাদের নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চাই। সেরা পারফরম্যান্স তাদের কাছ থেকে বের করাই আমার একমাত্র কাজ।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কোচ থাকার সময় ফুটবলারদের সঙ্গে যোজনযোজন দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। মাউরিসিও পচেত্তিনোকে ছাঁটাই করার পর হ্যারি কেনদের মনে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কেনরা প্রকাশ্যে তা বলেছেনও। মরিনহোর সামনের পথটা তাই বেশ কঠিন। সেখান থেকেই তিনি বেরোনোর চেষ্টা শুরু করছেন।
টটেনহ্যাম এখন ইপিএলে ১৪ নম্বরে। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে ২০ পয়েন্ট পেছনে। ফলে বিশাল ব্যবধান মরিনহোকে মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। ফুটবলারদের বলেছেন, ‘২০ পয়েন্টের তফাৎ কম কথা নয়। কিন্তু অসম্ভব নয়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে সম্ভব, বিশাল এই ফারাক মেটানো।’
শনিবার ইপিএলে ওয়েস্ট হ্যামের সঙ্গে ম্যাচ স্পারদের। তারপরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে খেলবেন কেনরা। ফলে মরিনহোর পুরো পথটাই কাঁটা বিছানো। তা তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন, ‘সমস্যা জর্জরিত দলকে টেনে তোলার পেছনে আনন্দ আলাদা। আমি ভীত নই। শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব।’
অনুশীলনের পরে তিনি ড্রেসিংরুমে কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন। হ্যারি কেনদের সমস্যাটা ঠিক কোথায়, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন।