ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার সময় কোমরের পুরনো ব্যথাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। পরে যেতে পারেননি শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন চোট নিয়েই। শেষে যেতে হয় দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায়। ফিজিওর ছাড়পত্র নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফিরছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
পাঁচ মাস ধরে চলেছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। অস্ত্রোপচার ছাড়াই সেরে উঠেছেন সাইফউদ্দিন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ধীরে ধীরে। তরুণ এ ক্রিকেটারের জন্য নতুন শুরুই বলা যায় জিম্বাবুয়ে সিরিজটি! যেখানে তার ব্যাটে-বলে প্রমাণ দিয়ে নতুন করে জাতীয় দলে থিতু হওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকবে।
মাঠের বাইরে থাকার সময়টায় সাইফউদ্দিন নিজেকে আরও কঠিন করে গড়ে তুলেছেন, সেটি বোঝা গেল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার পর। বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়া, না পাওয়ার ব্যাপারটি দেখছেন পেশাদারি দৃষ্টিতেই।
‘চোটের কারণে হয়তো পাঁচ মাস বাইরে ছিলাম। কিন্তু একবার বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দলের বাইরে ছিলাম ৮ মাস। আমি এসবে অভ্যস্ত। এখন হয়তো চোট থেকে ফিরছি। আগেও এমন হয়েছে। এসব আসলে চাপ না। পেশাদার হিসেবে এটাই সত্যি। ভালো খেললে থাকব, খারাপ খেলবে বাইরে চলে যাব।’
সিলেটে ১ মার্চ শুরু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দলের প্রায় প্রতিটি ক্রিকেটারের মুখেই শোনা যাচ্ছে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের কথা। সাইফউদ্দিনও মনে করেন সেটি খুবই সম্ভব। তবে সতর্কতা হিসেবে এটিও মনে করিয়ে দিলেন, খেলাটার নাম ক্রিকেট।
‘অবশ্যই সম্ভব (হোয়াইটওয়াশ)। তুলনামূলকভাবে আমরা জিম্বাবুয়ে থেকে অনেক এগিয়ে। মাঠের পারফরম্যান্সের দিক থেকে, টেস্টে ভালো করেছি। ওয়ানডেতেও শেষ কয়েকবারের দেখায় হোয়াইটওয়াশ করেছি। আমরা আশাবাদী হোয়াইটওয়াশ করতে পারব। তবে ক্রিকেট খেলা, কিছুই কিন্তু বলা যায় না।’
‘জিম্বাবুয়েকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। ইংল্যান্ডের মতো দলও কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল টি-টুয়েন্টিতে। এসব তো জোর গলায় বলা কঠিন। তবে আমরা হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়েই খেলব।’