রাজধানীর কোতোয়ালি ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে নতুন ধরনের মাদক অক্সি-মরফিনসহ দুইজন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হচ্ছে- মো. আলমগীর সরকার ও জাহিদুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ১৩ হাজার পিস অক্সি-মরফিন উদ্ধার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার থেকে কোতোয়ালি থানার বাবু বাজার এলাকা ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ধানমন্ডি শাখায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ সব তথ্য জানান।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার কোতোয়ালি থানার বাবু বাজার এলাকা ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ধানমন্ডি শাখায় অভিযান চালিয়ে অক্সি-মরফিনসহ আলমগীর ও জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সি-মরফিন বিক্রয় ও বাজারজাত করার অনুমোদন দেয়। যা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স, পরিবহনের রুট এবং কার কাছে তা বিক্রি করা হবে- তা দেখিয়ে গ্রহণ এবং বিক্রি করতে হয়।
‘‘দেশে অক্সি-মরফিন আমদানি ও বিক্রয়ের জন্য একমাত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জিসকা ফার্মা। যারা সারা বাংলাদেশে ১২০টি লাইসেন্সপপ্রাপ্ত ডিলারের মাধ্যমে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সরবরাহ করে থাকে।
গত ৫ মাসে ৫ লাখ ডোজ অক্সি-মরফিন বিক্রয় করেছে তারা। এটি শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এর অনুমোদিত পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু মামলাটি তদন্তকালে দেখা হয়, ইদানিং ওরাল ফরমেটে অক্সি-মরফিন খুচরা বাজারে ব্যাপক হারে বিক্রয় হচ্ছে।’’
কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, যুব সমাজ বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা এই অক্সি-মরফিন গুড়ো করে যেকোনো সিরাপ বা পানির সাথে মিক্স করে মাদক হিসেবে ব্যবহার করছে, যা উদ্বেগের।