নতুন নিয়োগ পাওয়া চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে দপ্তর বন্টন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজনের দপ্তর পুনর্বন্টন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন করে শপথ নেওয়া তিন মন্ত্রীর মধ্যে শাহজাহান কামালকে দেয়া হয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজী কেরামত আলীকে দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে রাশেদ খান মেননকে দেয়া হয়েছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
আর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে সরিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের আগের মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে করা হয়েছে পানি সম্পদমন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ থেকে তারানা হালিমকে করা হয়েছে তথ্য মন্ত্রলাণয়ের প্রতিমন্ত্রী। আগে থেকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা নুরুজ্জামান আহমেদকে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রথমে তিন মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মোস্তফা জব্বার ও শাহজাহান কামালকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
এরপর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজী কেরামত আলীকে শপথবাক্য পাঠ কারন তিনি।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
নতুনদের মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস- বেবিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার নির্বাচিত সাংসদ না হওয়ায় তাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হয়।
আগে থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারের প্রথম থেকেই মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে ১৭ ডিসেম্বরের পর থেকে পদটি ফাঁকা ছিল।