লর্ডস থেকে: আবির্ভাবে নতুন বলে ঝড় তুলতেন, এখন পুরনো বলে। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ডেরায় ডেথ ওভারে সফল হওয়ার পর থেকে এটিই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। বিশ্বকাপেও শেষের দিকের ওভারে ঝড় তুলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ডেথ ওভারে ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কোণঠাসা করে রেখেছেন। দুই ম্যাচেই নিয়েছেন ৫টি করে উইকেট। নতুন বলটা হাতে নিয়েই মোস্তাফিজ যদি দ্রুত এক বা একাধিক উইকেট পেতেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের মতো, হয়ত সাত বা আট নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপ শেষ করতে হত না বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ২০ উইকেট পেলেও বোলিং নিয়ে অতৃপ্তি আছে মোস্তাফিজের। এ বাঁহাতি পেসারের উপলব্ধি সুইং, বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করতে হবে আরও। নতুন বলে কার্যকরী হয়ে উঠতে টি-টুয়েন্টি আরও বেশি খেলার পক্ষে ফিজ।
‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো বোলিং করতে আমি মনে করি আরও টি-টুয়েন্টি খেলা দরকার। শেষ ১০ ওভারে কেমন বোলিং করতে হবে এটা সবচেয়ে ভালো উপলব্ধি করা যায় টি-টুয়েন্টি খেললে।’
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
‘নতুন বলে সুইং থাকলে ভালো। আমার বল অতটা সুইং করে না। মাঝেমধ্যে হয়, তবে সেভাবে না। অন্যরা যেভাবে ন্যাচারাল সুইং পায়, আমার সেভাবে হয় না। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে, যেন ইনসুইংটা পাই।’
‘অন্যদের মতো আমি হয়ত অত জোরে বল করতে পারি না। ঘণ্টায় গড়ে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারি। এখন দু-একটা বৈচিত্র্য আছে। ভবিষ্যতে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য যদি বাড়াতে পারি, আমার জন্য ভালো হবে।’ ফিজের উপলব্ধি।
প্রথমবার আইপিএল থেকে চোট নিয়ে ফেরার পর মোস্তাফিজকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিবি। বিশ্বকাপের কারণে গত আইপিএলে খেলতে দেয়া হয়নি এ বাঁহাতি পেসারকে।