মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষার আলো পাবে না। যদি কোন আর্থিক তহবিল পাওয়া যায়, তাহলেই শিশুরা মানবিক এই বিপর্যয় থেকে মুক্তি পাবে। মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এদেরকে ‘ঝড়ে যাওয়া প্রজন্ম’ বলা হচ্ছে।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরসিয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর সারাহ স্মিথ এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষাই পারে রোহিঙ্গা শিশুদের বিভিন্ন প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের জীবনকে পরিবর্তন করে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করতে’।
এ সংস্থা থেকে দাবি করা হচ্ছে, শিক্ষা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু তাদের শিক্ষার অধিকার সম্পর্কে কেউ মনোযোগ দিচ্ছে না। রোহিঙ্গা সংকটের জন্য শিশুরা তাদের শিক্ষা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বিশ্বে একটা দুর্বল জনগোষ্ঠীর প্রজন্ম হুমকির মুখে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী থেকে মাত্র ২ শতাংশ শিশু শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে বাকি অধিকাংশ শিশুই অন্ধকারে আছে শিক্ষার আলো থেকে।
কক্সবাজারে কর্মরত সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্যমতে, অক্টোবর মাসে জরুরি ভিত্তিতে একটা বিশেষ স্কুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সেখানে খুব কম সংখ্যাক রোহিঙ্গা শিশু অংশগ্রহণ করেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘স্কুল শুধু শেখার বিষয় না, এর মধ্য দিয়ে একটি শিশু তার রুটিন করতে শিখবে, নতুন বন্ধু তৈরি করবে, এবং খেলার জায়গা পাবে’।
অক্সফোর্ড বার্মা অ্যালাইন্সের তথ্য মতে, প্রায় ৬০ শতাংশ রোহিঙ্গা শিশুদের বয়স ৫ বছর থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তারা তাদের সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও স্কুলের অভাবে শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) এর মতে, ৬ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জলপথের পাশাপাশি স্থলপথেও তারা বাংলাদেশে আসে। তবে এ সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।