চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নতুন প্রস্তাব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈঠক

বেতন স্কেলের অসঙ্গতি দূর করতে নতুন প্রস্তাব বিষয়ে বৈঠক করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। আলাদা অালাদা বৈঠকের পর একটি সমন্বিত প্রস্তাব আগামীকাল রোববার সরকারকে জানাবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও আহ্বান করা হয় সাধারণ সভা। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এ সভায় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএমএমইউতে শিক্ষক সমাবেশে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, পে-স্কেল নিয়ে নিজেদের দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি প্রস্তাবনা রোববার শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পেশ করতে যাচ্ছেন তারা। সপ্তম বেতন কাঠামোতে শিক্ষকরা যেভাবে সুযোগ সুবিধা পেত সেগুলোই থাকছে প্রস্তাবনায়। প্রস্তাবনা পেশের দু-একদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশা ফেডারেশনের।

শিক্ষক নেতাদের দাবি, অধ্যাপকদের মধ্য থেকে গ্রহণযোগ্যসংখ্যক একটি অংশকে হলেও জ্যেষ্ঠ সচিবদের সমান বেতন স্কেল দিতে হবে। না হলে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।

সিলেকশন গ্রেড বহাল, গ্রেড সমস্যা নিরসন ও পৃথক বেতন স্কেলের দাবিতে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

এ কারণে চার দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল হয়ে আছে। ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেশনজটে পড়ে আছি। আবার শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি। শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে সরকারকে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। নতুবা পরিস্থিতি উল্টো দিকে গড়াতে পারে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি খবির উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারকে দীর্ঘ ৮ মাস সময় দিয়েছি। কিন্তু তারপরও তারা কোনো সমাধানে আসতে পারেননি। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট করাসহ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যাতে করে এখানে আসতে না পারে সেইজন্য সরকার একটি গভীর চক্রান্ত হাতে নিয়েছে। এই আন্দোলন শুধু আমাদের ব্যক্তিস্বার্থে না পুরো জাতির স্বার্থে।

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো পুনঃসংশোধনের দাবিতে চলা এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ায় ভুক্তভোগিরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।