বাংলাদেশে জাকির নায়েকের নামে পরিচালিত পিস স্কুলগুলো সরকার বন্ধের নির্দেশ দিলেও নির্দেশ জারির আগে থেকেই নতুন নামে পরিচালিত হচ্ছে পিস স্কুল। কিন্তু, সেটা সম্ভব না বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঠিক কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘পিস’ নাম দিয়ে চলছে সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য না থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় জনিয়েছে, রাজধানীর লালমাটিয়ায় একটি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ের সাময়িক নিবন্ধন ছাড়া সবগুলোই অননুমোদিত।
লালমাটিয়ার সাবেক এ পিস স্কুল এখন চলছে ‘সাউথ শোর স্কুল’ নামে। স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের কাছে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ওদের স্কুল থেকে একটা টেক্সট এসেছে যে স্কুলের নাম এখন থেকে সাউথ শোর স্কুল। তারা জানিয়েছে যে, এই স্কুলটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বৈধ অনুমোদন পাওয়া এবং আমাদেরকে নিশ্চিন্ত থাকতে বলা হয়েছে।’
কিন্তু, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রাতারাতি এভাবে নাম পরিবর্তন সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা চ্যানেল আইন অনলাইনকে বলেন, নাম পরিবর্তনের বিষয়টি একটি লম্বা প্রক্রিয়া। রাতারাতি এভাবে নাম পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
লালমাটিয়ার ওই স্কুলের ছা্ত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চারশো। সিলেবাস ব্রিটিশ কাউন্সিল অনুমোদিত বলে স্কুল থেকে দাবি করে বলা হয়, অতিরিক্ত হিসেবে রয়েছে কুরআন। হিফজও আছে, তবে অপশনাল। বাংলা-ইংরেজীর পর তৃতীয় ভাষা হিসেবে আছে আরবী। কুরআন পড়ানো হয় বোঝার জন্য। হাদিস পড়ানো হয় না।
অভিভাবকদের দাবি, সিলেবাসে কী আছে, স্কুলে কী পড়ানো হচ্ছে তা গণমাধ্যমে তুলে ধরা হোক।
নাম প্রকাশ না করে এক অভিভাবক বলেন, তৃতীয় ভাষা হিসেবে অন্য স্কুলে স্প্যানিশ, জার্মান বা ফ্রেঞ্চ পড়ানো হয়, এখানে শুধু আরবী। অন্য ইংলিশ মাধ্যম স্কুলের মতো এখানেও সব ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস হয়।
তবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, জাকির নায়েকের বক্তব্য যেমন অনেককে জঙ্গি হতে অনুপ্রাণিত করে তেমনি তার আদর্শে পরিচালিত স্কুলেও সেই আশঙ্কা থেকে যায়।
এক কর্মকর্তা বলেন, যে আশঙ্কা থেকে পিস টিভি বন্ধ করা হয়েছে, সেই একই আশঙ্কা থেকে পিস স্কুলও বন্ধ করতে বলা হয়েছে।