আসামে সদ্য প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক তালিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি।
বিজেপি নেতারা বলছেন, এই তালিকা থেকে অনেক প্রকৃত নাগরিকই বাইরে রয়েছেন। বিশেষ করে যারা ১৯৭১ এর আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন।
একাধিক টুইটে আসামের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা লেখেন, ১৯৭১ সালের আগে যারা বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে এসেছিলেন সেরকম অনেক নাগরিকেরই নাম বাদ পড়েছে। এই জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর ওপর কোনো বিশ্বাস নেই।
এই তালিকাকে বিজেপি নেতারা হিন্দুদের বিতাড়িত করার গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।
শনিবার আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর পরই সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি।
এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। এবার তাদের লড়াই করতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে, বহু দশক ধরেই আসামে তারা বাস করছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিদেশি বলে এখনই চিহ্নিত করা হবে না। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এবং আদালতে লড়তে পারবেন তারা।
এনআরসি-র পরে বিজেপি ইঙ্গিত দিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনবে তারা।
তবে এনডিটিভি’র এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব অভিযোগ করেন, এনআরসি হিন্দুদের বিতাড়িত করে মুসলিমদের সাহায্য করার অংশ।
তিনি বলেন, অধিকার সুরক্ষার জন্য নির্ভুল এনআরসি চেয়েছিল মানুষ। তবে সেটা হয়নি, মনে হচ্ছে এটা হিন্দুদের বিতাড়িত করা এবং মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বৈধতা দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র।
নাগরিক তালিকার বিষয়টি নজরে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল সরকার, যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল দেশটির শীর্ষ আদালত।