কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ফজলে কবীর আগামী ১৮ মার্চ দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেছেন,
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর দায়িত্ব বুঝে নেবেন নতুন গভর্নর। এর আগে
সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন ড.আতিউর রহমান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমান অর্থ চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অর্থমন্ত্রী।
তার বক্তব্যে উঠে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরণের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সকাল পৌনে ১১টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান গণভবনে গিয়ে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সাক্ষাত করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
সেসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ড. আতিউর রহমানের এ পদত্যাগ একটি সাহসী পদক্ষেপ। যার নৈতিক মনোবল ও সৎ সাহসের বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
গভর্নরের পদত্যাগের খবরে সচিবালয়ে পূর্ব ঘোষিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেন অর্থমন্ত্রী। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে নতুন গভর্নরের নাম প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফজলে কবীর। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আগামী ১৮ মার্চ দেশে ফিরে তার দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
অর্থমন্ত্রী আরো জানান, অর্থ পাচারের রহস্য উদঘাটনে সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।