রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের শপথ নেয়ার কথা। এরইমধ্যে দেশের ১৮টি উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তার আগে ২২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার ভোট রয়েছে। আর ২২ মার্চ হবে গাইবান্ধা-১ আসনের উপ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি। গত জাতীয় নির্বাচন বয়কট করা বিএনপি স্বভাবতঃই এ নির্বাচেন অংশ নেবে না। তবে, স্থানীয় সব নির্বাচনে নতুন কমিশনের সমালোচনা করা বিএনপি অংশ নিতে যাচ্ছে। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার অধীনে আগামী ৬ মার্চ ১৮টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। এসব নির্বাচনের সবকটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিএনপি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি। ১০ ফেব্রুয়ারি হয়েছে যাচাই-বাছাই। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি বলেছিলো, এ কমিশন সরকারের অনুগত, তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এমনকি তারা এও বলেছিলো যে, নতুন সিইসি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিনের চেয়েও খারাপ ভূমিকা রাখবেন। রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, শপথ নিলে এই নির্বাচন কমিশনকে অপমানিত হতে হবে। আর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই কমিশনারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগন মেনে নেবে না। আজ তিনি বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গেলেও তার দল এই কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপির এই আচরণ রাজনৈতিকভাবে তাদের জন্য ক্ষতিকর কিনা সেটা নিশ্চয়ই তাদের হিতাকাঙ্খীরা ভালো বুঝবেন। তবে এইবার এই দলটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। দলের উপর যখন এই খাড়া ঝুলছে তখন দলীয় নেতৃত্ব স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে শুভবুদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাদের এই শুভ বুদ্ধি বজায় থাকলে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে সুস্থ ধারা বজায় রেখে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবেন বলে আশা করা যায়। দেশের মানুষ এই শুভ রাজনৈতিক আচরণের অপেক্ষায়।