সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে অত্যাধুনিক এক যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে নতুন করে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)। আর এ কাজে তারা ব্যবহার করছে সর্বাধুনিক এক সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাঠানো যেকোনো তথ্য আধাঘণ্টার মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মুছে যায়।
শুক্রবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আটক জেএমবির ৫ সদস্য রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রামচন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম (২৯), সাহিদ মিয়া (১৮), হায়দার আলী (২০), ফারুক ও রতনকে (২৩) গাইবান্ধার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম তাসকিনুল হকের আদালত
৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, রিমান্ড জিজ্ঞাসায় আটক জেএমবির সদস্যরা জঙ্গি নেটওয়ার্ক এবং তাদের অর্থের উৎস সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন।
আটক জেএমবি সদস্যরা তদন্ত কর্মকতাদের জানায়, সংগঠনটির একাধিক অ্যাকশন গ্রুপ আছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপকে দিয়ে গাইবান্ধায় কোনো একটি উৎসবে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ছিলো।
জেএমবির নতুন সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আটক ওই ৫ নেতা জানিয়েছে, জেএমবি আগের চেয়ে জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে নতুন কৌশল নিয়েছে। এখন বিভিন্ন পেশা থেকে বেছে বেছে এমন সব ব্যক্তিকে দলে নেওয়া হচ্ছে; যাদের বিরুদ্ধে অতীত জঙ্গি হিসেবে কোনো রেকর্ড নেই।