ইংল্যান্ড ৫২ বছর পর কি ফের বিশ্বজয়ের স্বাদ পাবে? সেমিতে ক্রোয়েশিয়া গাঁট পেরোতে পারলে কাপের আরও কাছে পৌঁছাবেন হ্যারি কেনরা। সেটা করতে সুখী পরিবারের মতো ইংল্যান্ড দল বেশ প্রত্যয়ী।
কাগুজে বাঘ এবার অন্তত তাদের আর বলা যাচ্ছে না। পারফরম্যান্স এখন ইংল্যান্ডের হয়ে কথা বলছে। যা দেখে ব্রিটিশদের একটাই রিংটোন ‘ইটস কামিং হোম’। ১৯৬৬’র পুনরাবৃত্তির অপেক্ষায় ব্রিটিশরা। আর দু’ম্যাচ জিতলেই স্বপ্নপূরণ। যার প্রথম বাধা ক্রোয়েশিয়া।
ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট ক্রোয়েটদের বিরুদ্ধে ৩-১-৪-২ ছকে এগোতে চান।। তার লো প্রোফাইল ইমেজেও দল প্রভাবিত। তারকা নয়, দলগত বিশ্বাসী এই ইংল্যান্ড। দলের আসল প্রাণ আবার অধিনায়ক হ্যারি কেন। তার নামের পাশে এখনই ৬ গোল। ক্যাপ্টেন আটকে গেলে দলের অন্য ফুটবলাররাও যেকোনো মুহূর্তে গোল করতে পারেন।
ইংলিশদের মাথাব্যথা ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ। মদ্রিচ, রাকিটিচের মতো বিশ্বমানের দুই ফুটবলারকে কীভাবে সাউথগেট আটকান তা নিয়ে রয়েছে কৌতূহল। ইংল্যান্ডের সমস্যা লিনগার্ড, হেন্ডারসনসহ ৫ ফুটবলার একটা করে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। ফলে আবার কার্ড দেখলেই বিপদ।
বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি দুই দল। তবে অন্য ম্যাচের হিসেবে এগিয়ে ইংল্যান্ড। এপর্যন্ত সাতটি ম্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ড জিতেছে চারবার, দু’বার হার। এক ম্যাচ ড্র।
ইতিহাস নতুন করে লিখতে নীরবে প্রস্তুত হচ্ছে থ্রি লায়ন্সরা। ৭০ হাজারের লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মেগা লড়াইয়ের জন্য তৈরি।