পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম বাঙালির জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা। পৃথিবীতে সংঘাত, নির্যাতন, নিষ্ঠুরতার অন্যতম কারণ হিংসা-বিদ্বেষ, যার কারণে ৪০ মিলিয়ন লোক গৃহহারা দেশে দেশে রিফিউজির জীবন যাপন করছে।
নজরুল একাডেমী সৌদি আরব শাখার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আরও বলেন: কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম মানুষ ও মনুষ্যত্বের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সাহিত্য সমূহ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মানবজাতির সহ-অবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আজ সারা বিশ্ব নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিচ্ছে কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৯৮ বছর আগে নজরুল নারীর উপর সামাজিক নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করার জন্য অকুতোভয় হিসেবে কাজ করেছেন। কবি নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ইসলাম এর সারমর্ম মানুষের মাঝে তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন: প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পৃথিবীতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মন-মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।
এছাড়া সভায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন ইসলামিক কবিতা গান, হামদ, নাত আরবিতে অনুবাদ করে সৌদি আরবের উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডক্টর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক সারোয়ার আলম, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, শিল্পী ফাহমিদা রহমান এবং নজরুল একাডেমী সৌদি আরবের সভাপতি ডক্টর মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ ঢাকা ও কলকাতা থেকে নজরুল গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় নজরুল একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মিন্টু রহমান।