মঙ্গলবার ফ্রান্সের রুয়েন শহরের কাছে চার্চে হামলায় পাদ্রীর সন্দেহভাজন হত্যাকারী আগে থেকেই পুলিশের নজরদারিতে ছিল। এমনকি হামলা চালানোর সময়ও তার গায়ে পুলিশের সারভেইল্যান্স ট্যাগ লাগানো ছিল বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফ্রাঁসোয়া মলিনস জানান, আদেল কারমিশ নামের ১৯ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গত বছর দু’বার গ্রেফতারও হয়েছিল। হামলাকারীরা ‘অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে জড়ানো নকল বিস্ফোরক যন্ত্র’ এবং হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেইন্ট-এতিয়েনে-দ্যু-রুভরে নামের ওই ক্যাথলিক চার্চে প্রবেশ করে।
৮০ বছর বয়সী ফাদার জ্যাক হ্যামেলকে লক্ষ্য করে জিম্মিকারীরা হামলা চালানোর সময় সেখানে থাকা কয়েকজন প্রার্থনাকারী পালিয়ে যেতে সফল হন। তারাই বেরিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশের চার্চের ভেতর ঢোকা আটকাতে তিন জিম্মিকে হামলাকারীরা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল বলে জানান মলিনস।
চার্চে জিম্মি থাকা সিস্টার দানিয়েল উদ্ধারের পর পুলিশকে জানান, হামলাকারীরা ফাদার হ্যামেলকে জোর করে হাটু গেঁড়ে বসায়। তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা ফাদারকে গলা কেটে হত্যা করে।
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের নরম্যান্ডি এলাকার চার্চটিতে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে ছুরি নিয়ে ওই দুই হামলাকারী হঠাৎ করে ঢুকে যায় এবং চার্চের ভেতরে থাকা লোকজনদের জিম্মি করে।
পরবর্তীতে পুলিশের অভিযানে তারা নিহত হন। তখনই পাদ্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার এক বর্ষিয়ান জিম্মি গুরুতর আহত।
ঘটনায় দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি দলটির সাথে সম্পর্কযুক্ত আমাক নিউজ এজেন্সি জানায়, ‘দু’জন আইএস সেনা’ এই হামলা চালিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলান্দও বলেন, হামলাকারীরা আইএসের সাথে সম্পৃক্ততার দাবি করেছিল।
হামলাস্থল সেইন্ট-এতিয়েনে-দ্যু-রুভরে চার্চে উপস্থিত হয়ে ওঁলান্দ একে ‘কাপুরুষোচিত হত্যা’ মন্তব্য করে আইএসের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধের কথা বলেন।