স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন দাবি করেছেন, ইসরাইলের গোয়েন্দা
সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে।
বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ছাড়াও অন্য যাদের নাম এসেছে, তাদেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার
পাশাপাশি গতিবিধির উপর গোয়েন্দা নজরদারি চলছে বলেও জানান তিনি।
রোববার দুপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নজরদারির কথা জানানোর পর সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে গ্রেফতার হন আসলাম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সঙ্গে মিলেমিশে বাংলাদেশে অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
“ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির সম্পৃকতা ও তৎপরতা খুঁজে পাওয়া গেছে। মোসাদ বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন কায়দায় দেশে অপতৎপরতা চালানোর প্রচেষ্টা করছিল। আমাদের নজরদারিতে সেগুলো আসে। গোয়েন্দা সংস্থা সহ সবাই ব্যাপারগুলো জানার পর আমরা সর্তক অবস্থা গ্রহণ করি।”
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পর নানা জঙ্গি সংগঠনের নামে যে দায় স্বীকার, সেই তথ্যও জানানো হয় ইসরাইল থেকে পরিচালিত সাইট নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে।
“টার্গেট কিলিং বলেন কিংবা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে হত্যাকাণ্ডগুলো করানো হয়, সেগুলো করানো সর্বোচ্চ দুইঘণ্টার ভেতরেই সাইট নামক একটি ওয়েব সাইট থেকে প্রচারিত হয় এটা আইএস করেছে, কিংবা আরেকটি জঙ্গি সংগঠনের নাম দিয়ে এটা অমুকে করেছে। অথচ আমরা সব সময় বলে আসছি বৈদেশিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো সংশ্লিষ্ট নয়।”
ফেসবুকের প্রকাশ্য পোস্ট থেকেই গোয়েন্দারা প্রথম জানতে পারেন, ইসরাইলের
লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদি’র সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেছেন বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এরপরই আসলাম চৌধুরীর উপর শুরু হয় গোয়েন্দা
নজরদারি। শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বৈঠকটি
হয়েছিলো বলে দাবি করে আসছে আওয়ামী লীগ।