অভিনেত্রী, নির্মাতা ও কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্রে যাকে নিয়মিত গাইতে দেখা যেত। সেই তিনিই গানের মধ্যে নেই প্রায় ১০ বছর! তবে তার শ্রোতাদের জন্য আনন্দ সংবাদ নিয়ে এলেন শাওন!
শাওনের নতুন গান ‘ইলশে গুঁড়ি’। জুলফিকার রাসেলের লেখা এ গানের সুর করেছেন কলকাতার বাস্তববাদী শিল্পী নচিকেতা।
বর্তমানে গানটি পাওয়া যাচ্ছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে। গানটি শুনে এবং দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অসংখ্য মন্তব্যের ভিড়ে যেমনটা চোখে পড়েছে অর্পিতা মজুমদারের মন্তব্য। তিনি লিখেছেন, অপেক্ষার অবসান হল। প্রায় ১০ বছর পর মানুষটা তার নতুন কাজ আমাদের উপহার দিয়েছে। খুব খুব ভালো লেগেছে।
ফেরদৌসি আজাদ লিখেছেন, কি যে বলবো, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অসাধারণ একটা গান।
প্রমি মির্জা লিখেছেন, শূন্যতার মাঝেও যে শিল্প থাকে গানের কথগুলো তাই বুঝিয়ে দিল।মোক্তার হোসাইন লিখেছেন, দারুণ হয়েছে ম্যাম। হুমায়ূন স্যার আজ বেঁচে থাকলে তাহলে আপনাকে বার বার গানটা গাইতে হতো।
মেহের আফরোজ শাওন জানান, ‘ইলশে গুঁড়ি’ গানটি অনেকগুলো কারণে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বললেন, হুমায়ূন আহমেদের গানের বাইরে আমি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছি। কিন্তু ‘ইলশে গুড়ি ইলশে গুড়ি’ গানটি আমার মৌলিক গান।
এর আগে শাওন অনেকগুলো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যে গানগুলো গেয়েছেন সেগুলো তিনি গাইবেন বিষয়টি মাথায় নিয়েই সুর সুর করা হয়েছিল। কিন্তু এই ‘ইলশে গুঁড়ি’ গানটির ক্ষেত্রে হয়েছে ব্যতিক্রম। শাওন বলেন, উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত শিল্পী নচিকেতা তার মতো করে গানটি সুর করেছেন আমার কথা মাথায় না রেখে।
শাওন মনে করেন, এ এক অন্যরকম ফিলিংস। গানটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি ঘোরলাগা গান। গানটি শুনতে বসে অনেকই হয়তো প্রথমে একটা ঘোরের মধ্যে থাকবেন। আবারও কয়েকবার শুনতে ইচ্ছা করবে।
এ জন্য শাওন ধন্যবাদ জানিয়েছেন গানের গীতিকার জুলফিকার রাসেলকে। এছাড়া গানটির ভিডিও নির্মাণে লগ্নীকারি প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
‘ইলশে গুঁড়ি’ গানের সংগীত আয়োজন করেছেন তুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলী। ভিডিও নির্মাণ করেছেন মীর শরিফুল করিম শ্রাবণ।
দেখে নিন শাওনের’ইলশে গুঁড়ি’: