জি ফাইভের নতুন সিরিজ ‘নকশালবাড়ি’। রিভেঞ্জ-ড্রামা ঘরানার সিরিজ এটি। মুক্তির অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলেছে পার্থ মিত্রের এই সিরিজ।
সিরিজের বিষয়বস্তু খুবই সাধারণ, যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিজে না নিলেও যুদ্ধের সময় যে কোনো এক পক্ষ সমর্থনের জন্য বাধ্য করা হয়। এই সিদ্ধান্ত যত দ্রুত নেয়া যায় ততই ভালো।
৩০ মিনিট করে ৯টি পর্বের সিরিজ এটি। ঐতিহাসিক নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করা হয়েছে ‘নকশালবাড়ি’, যদিও আন্দোলনটির আলোকে এই সময়ের সংকটকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তবুও কেউ কেউ ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও তুলেছেন।
সরকার, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এবং নকশালবাদীদের দ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে ‘নকশালবাড়ি’ সিরিজে। খুব বিস্তৃতভাবে আন্দোলন দেখানো না হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এতে।
ষাটের দশকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি গ্রামে স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে একটি উপজাতি কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়। পরবর্তীতে এই বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে নকশালবাড়ি নামটি মিশে যায়। এই নাম থেকেই সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে ‘নকশালবাড়ি’।
সিরিজটির এতটাই অসাধারণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে চোখের পলক ফেলাও মুশকিল। অ্যাকশনের দৃশ্যগুলোও হতাশ করবে না। এডিটিং-এ সামান্য দুর্বলতা থাকলেও গল্পের জোরে সেটা কাটিয়ে উঠেছে এই সিরিজ।
মূল চরিত্রে রাজিব খান্ডেলওয়াল হতাশ করেননি। ‘রাঘব’ চরিত্রের সাথে মিশিয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যান্য শিল্পীরাও নিজ নিজ চরিত্রে দক্ষতা দেখিয়েছেন।
সব মিলিয়ে ‘নকশালবাড়ি’ এক বসায় দেখে ফেলার মতো সিরিজ। ভিন্নধর্মী সিরিজ যারা দেখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ‘পারফেক্ট’ এই সিরিজটি। তবে ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি আন্দোলনের কথা মাথায় না রেখে দেখাই ভালো। -মুম্বাইলাইভ