নওগাঁয় মান্দায় শুরু হয়েছে ব্রি-ধান ৬২ চাষ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-৬২ ধান ১৫২ কৃষক ১০০ বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো চাষ করেন। বীজ তলায় ধান বীজ বপন থেকে ধান কাটা পর্যন্ত সময় লাগে সর্বোচ্চ ১০০ দিন।
কৃষকরা জানান, এই জাতের ধান কেটে একই জমিতে সরিষা বা আলু চাষ করা যায়। পরে ওই জমিতেই বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নেন কৃষক।
একজন কৃষক বলেন, আমাদের মাঠে অর্ধেকই প্রায় জিংক ধান হয়ে গেছে। পরে গম, সরিষা বা আলু করবে এই উদ্যোগেই জিংক ধান করেছে। মাঝে আরেকটা ফসল করবো বলেই জিংক ধান করেছি।
জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-৬২ ধানের ফলন প্রতি বিঘায় পাওয়া যায় ১৮ থেকে ২০ মণ। একই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদনের সুযোগ থাকায় এই ধান চাষ লাভজনক বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
সিসিডিবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, এটা আস্তে আস্তে প্রসার লাভ করতেছে এবং কৃষকরা এতে খুবই উপকৃত হচ্ছে।
মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মহিলা ও শিশুদের এবং সকল মানব দেহের জন্যে যেটা প্রয়োজন সেই জিংক ব্রি-ধান ৬২তে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। এর পরিমাণ প্রায় ২২ শতাংশ।
ব্রি-ধান ৬২ দ্রুত সম্প্রাসারণের ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।