করোনা মহামারীর সময়ে মেসুত ওজিল হাতেগোনা কয়েক খেলোয়াড়ের একজন যারা আর্সেনালের কাছে পুরো বেতনই পাচ্ছেন। ক্লাবের সবচেয়ে বেশি বেতনধারী হয়েও কেনো তার পাওনায় হাত দেয়া যাচ্ছে না তা নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। যা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন জার্মান মিডফিল্ডার। তার মতে কেনো তিনি পারিশ্রমিক পুরোটাই নিচ্ছেন সেই উত্তরগুলো সবার জানার অধিকার আছে।
করোনাকালে আর্থিক ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য গত এপ্রিল থেকে খেলোয়াড়দের বেতন কাটছে আর্সেনাল। মূল বেতনের ১২.৫ শতাংশ কাটার সিদ্ধান্ত খেলোয়াড় থেকে কোচিংস্টাফের প্রায় সবাই মেনে নিয়েছেন, কেবল ওজিল ও অল্প কয়েকজন খেলোয়াড় বাদে।
আর্সেনালের বর্তমান দলটার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান ওজিল। পরিমাণটা সপ্তাহে ৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড! এত বেতন পেয়েও কেনো ১২.৫ শতাংশ কম নিতে রাজি হচ্ছেন না তা নিয়ে অনেক কটুকথা শুনতে হয়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান তারকাকে।
এতদিন চুপ করে থাকলেও দ্য অ্যাথলেটিকের কাছে মুখ খুলেছেন ওজিল। ৩১ বছর বয়সী তারকা জানিয়েছেন, আর্সেনাল বেতন কাটার ব্যাপারে তাকে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। আর পরিবার ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তার যে প্রতিজ্ঞা আছে সেগুলোও মাথায় আনতে বলেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
‘খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সবাই অংশগ্রহণ করতে চেয়েছি। কিন্তু আমাদেরকে সঠিক তথ্য দেয়া প্রয়োজন ছিল এবং প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হয়নি।’
‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী হচ্ছে, কেনো হচ্ছে, তাদের টাকাগুলো কোথায় যাচ্ছে, সেটা সবার জানা উচিত। কিন্তু কেউ আমাদের বিষয়গুলো খোলাসা করেনি, শুধু আমাদের একটা সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্তের জন্য এটা খুব অল্প সময়, আর অহেতুক চাপ দেয়া হচ্ছিল।’
‘তরুণ ফুটবলারদের জন্য এটা খুব বাজে এক সিদ্ধান্ত ছিল। তাই আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। বাড়িতে আমার ছোট বাচ্চা আছে, তুরস্ক ও জার্মানিতে আমার পরিবারের কাছে দায় আছে, একইসঙ্গে আমার দাতব্য কাজের ক্ষেত্রেও তাই। লন্ডনে আমরা কিছু মানুষকে সাহায্যের জন্য নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছি, এ কাজগুলো হৃদয় থেকে। মানুষকে দেখানোর জন্য নয়।’
তাকে ‘ধ্বংস’ করার জন্য মানুষ এসব কাজ করছে বলেও মনে করেন ওজিল, ‘এসব করা হচ্ছে কারণ কিছু মানুষ গত দুইবছর ধরে আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা চায় না আমি সুখী থাকি। তারা সমর্থকদের কাছে আমার এমন এক ছবি তুলে ধরার এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে, যেন সমর্থকরা আমাকে ঘৃণা করে। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে আমি এমন নই।’