ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সেনা সদস্যদের শ্রদ্ধা জানাতেই শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেনার টুপি পরে খেলেছিল ভারত। বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনিদের এভাবে সেনাদের টুপি পরে খেলা নিয়ে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন পাকিস্তানের মন্ত্রীরা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে আইসিসির কাছে অভিযোগ করার হুমকি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তার সুরে সুর মিলিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রীও। মন্ত্রীরা ভারতীয় এই মিলিটারি টুপি নিয়ে সোচ্চার হলেও পিসিবি অবশ্য এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশির বক্তব্য, ‘সারাবিশ্ব দেখেছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা মিলিটারি টুপি পরে খেলেছে। আইসিসি কি ঘটনাটা দেখেনি? আমার ধারণা, এটা পাকিস্তান বোর্ডের তুলে ধরার আগে আইসিসির নিজেরই দেখা উচিত।’
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইনজামাম-উল-হক এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন। পিসিবির চিফ সিলেক্টর ইনজামাম বলেছেন, ‘দেখুন, আমি একজন ক্রিকেটার। ক্রিকেট নিয়ে থাকাটাই আমার একমাত্র কাজ। এসব রাজনীতির ব্যাপার। তার মধ্যে আমি কোনোভাবেই থাকতে চাই না।’
এতেও অবশ্য বিতর্ক থামছে না। তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন চৌধুরী টুইটারে ভারতীয় দলের ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার কথায়, ‘এটা শুধু ক্রিকেট নয়। আশা করি, জেন্টলম্যান গেমে রাজনীতি ঢুকিয়ে ফেলার জন্য আইসিসি ব্যবস্থা নেবে। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে যদি থামানো না যায়, তাহলে কাশ্মীরে ভারতের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে পাকিস্তান ক্রিকেট দলেরও কালো ব্যান্ড পরে খেলা উচিত। আমি পিসিবিকে সরকারিভাবে নালিশ জানানোর দাবি তুলছি।’
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপড়েনের জন্য বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দুই দেশের উপর বাড়তি চাপ থাকতে পারে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ইনজামাম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, এই বিশ্বকাপে নতুন কোনো ব্যাপার ঘটবে। বরাবর যা হয়েছে, তাই হবে।’
এর আগে পুলওয়ামায় হামলার পর সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে বিশ্ব ক্রিকেট থেকে একঘরে করার ডাক দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। সেই অনুযায়ী আইসিসিতে একটি বিশেষ আবেদনও জমা দিয়েছিল বিসিসিআই।
আইসিসির পাশাপাশি সংস্থার সদস্য দেশগুলোর কাছেও একই আবেদন জানিয়েছিল বিসিসিআই। বলা হয়েছিল, সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয় এমন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ভারতের ওই আবেদন নাকচ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি জানায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তাদের হাতে নেই।