চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ধোনির সঙ্গে একই প্রান্তে মিলে গেলেন সাকিব!

নিধাস ট্রফিতে মেজাজ হারিয়েছিলেন। আম্পায়ারের বিতর্কিত এক নো বলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাঠ থেকে চলে আসতে বলেছিলেন সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন না ঠেকালে হয়ত মাঠেও নেমে যেতেন আইন ভেঙে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আলোচিত-সমালোচিত সেই কাণ্ডের ১৩ মাস পর সাকিব আল হাসান পাশে পাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে! একইরকম কাণ্ডে আইপিএলে মেজাজ হারিয়ে অবশ্য মাঠেই নেমে পড়েন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক!

রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে রান তাড়ার একদম শেষ ওভারের চতুর্থ বলে নো ডেকেও সেটা বাতিল করে দেন আম্পায়াররা। ঠিক আগের বলে আউট হওয়া ধোনি ব্যাট-প্যাড খুলে ফেলতে না ফেলতেই এমন সিদ্ধান্ত দেখে আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। আইন, নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে নেমে পড়েন মাঠে। তর্কে জড়িয়ে পড়েন আম্পায়ারদের সঙ্গে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ধোনির মতো মাঠে না নামলেও নিধাস ট্রফিতে বাইরে থেকেই প্রতিবাদ করেছিলেন সাকিব। দুজনের ঘটনায় মিল থাকায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সংবাদ সম্মেলনে আসা সাংবাদিকরা চেপে ধরলেন বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ককে। জানতে চাইলেন প্রতিক্রিয়া।

মিল যে আছে সেটা মেনে নিয়েছেন সাকিবও, সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমিও একই কাণ্ড করেছিলাম নিধাস ট্রফিতে। তাই আমার এনিয়ে বলা সাজে না।’

ক্যারিয়ারে মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলার জন্য প্রশংসিত ধোনি মাথা গরম করে মাঠে নামায় দেখছেন মুদ্রার উল্টা-পিঠ। তাকে নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা। জরিমানা গুনতে হচ্ছে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ।

অন্যের সমালোচনা পেলেও সাকিবের প্রশংসা পাচ্ছেন ধোনি। হৃদয় দিয়ে খেলেন বলেই আবেগটা ধরে রাখতে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক, সাকিবের মতটা এমনই।

‘চরম উত্তেজনার মূহুর্তে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। আর এটাই প্রমাণ করে ধোনির মতো একজন ক্রিকেটার কতটা হৃদয় দিয়ে খেলে। তার মতো খেলোয়াড় যেকোনো মূল্যেই ম্যাচ জিততে চায়।’

ধোনিকে নিয়ে কৌশলী উত্তর দিলেও নিজের হতাশা শেষপর্যন্ত লুকাতে পারেননি সাকিব। প্রথম ম্যাচে খেলার পর বাকি সময় এবার তাকে ডাগআউটেই বসিয়ে রাখছে হায়দরাবাদ। নিজেরা ম্যাচও হেরেছে তিনটি। বিশ্বমানের একজন অলরাউন্ডার হয়েও মাঠের বাইরে বসে থাকার কারণটা অবশ্য সাকিবকে মেনে নিতেই হচ্ছে। চার বিদেশী (ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী) ভালো খেলায় নিয়মিত সুযোগ পাওয়াটা কঠিন বলেই মনে করেন টাইগার তারকা!

‘বিদেশী খেলোয়াড়রা সত্যিই খুব ভালো খেলছে। এটা অবশ্যই হতাশাজনক, তবে আপনাকে বিষয়টা মেনে নিতেই হবে। টিম ম্যানেজমেন্টের জন্যও কিন্তু দল সাজানো বেশ কঠিন। তারপরও আমাকে ফিট ও প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ আসছে। নিজেকে নিজেই উজ্জীবিত রাখতে হবে যেন সুযোগ আসলেই দুহাতে সেটা লুফে নিতে পারি। আগের চেয়ে অনেক কঠিন পরিশ্রম করছি।’