আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল যে অন্যতম এক শক্তি সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে আরো আগেই। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের পাফরম্যান্স শক্তিশালী দলের তকমা এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। সিনিয়রদের সঙ্গে তরুণ খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে সর্বোচ্চটা বের করে আনতে পারলে টাইগাররা ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জিততে পারবে বলে বিশ্বাস করেন সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ রিডার্ড হ্যালসল।
পদত্যাগের দেড় মাস পর সোমবার বিসিবি কার্যালয়ে আসেন হ্যালসল। আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় এই জিম্বাবুইয়ান বাতলে যান পরের ধাপে যেতে কী করতে হবে বাংলাদেশকে। সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বিত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে সবদিক থেকে পূর্ণ সমর্থনের ব্যাপারটিও সামনে এনেছেন তিনি।
‘আপনারা নিশ্চয়ই অনেক আন্তর্জাতিক দলকেই দেখেছেন। ক্রিকেটাররা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের নিরাপদ ভাবছে, নিরাপদ বলতে শারীরিক দিকটা বোঝাচ্ছি না, তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া ও দেখভাল করা, সমর্থন করা। তাহলে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়া যাবে। যে ক্রিকেটাররা দলে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে লড়ছে, তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে ভালো এক ঝাঁক সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। কিন্তু তাদের দিয়েই শুধু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জেতা যাবে না। আরো ক্রিকেটার তুলে আনতে হবে। সেটিই পরামর্শ থাকবে। সিনিয়রদের পাশাপাশি উঠতিদের সামর্থ্যটা বের করে আনতে হবে।’
সিনিয়র খেলোয়াড় প্রসঙ্গ উঠলেই সামনে আসে পঞ্চপান্ডব মাশরাফী, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর কথা। যেভাবে তারা অবদান রাখছেন সেভাবে তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের একটা জায়গায় ধরে রাখতে পারছেন না। প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে দ্রুত জাতীয় দলে চলে আসলেও ধারাবাহিক হতে পারছেন না। এজন্য তরুণদের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রশ্বস্ত করতে বললেন কাউন্টি দল সাসেক্সের একাডেমি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া ৪৯ বছর বয়সী হ্যালসল।
‘আরো অনেক বড় দলের খুব ভালো ‘এ’ দল ও ইমার্জিং প্লেয়ার্স প্রোগ্রাম থাকে। তারপরও অনেক সময় প্লেয়ার উঠে আসে না সেভাবে। একদিক থেকে ভাবলে বাংলাদেশের জন্য এটি সুবিধাও যে দ্রুত এবং সরাসরি প্রতিভাবানরা জাতীয় দলে উঠে আসছে। কিন্তু তারপর তাদেরকে উপযুক্ত সমর্থন দিতে হবে।’