ধানের শীষের ৮টি আসনের প্রার্থিতা উচ্চ আদালতে এসে আটকে গেছে এবং ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কারাগারে।
এছাড়া আরো কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, এর মধ্যে ৮টি আসন সরকারি দল নির্বাচনের আগেই উপহার হিসেবে জোরপূর্বক নিয়ে নিয়েছে আর ১৬ আসনও নানা কৌশলে হরণ করার চেষ্টা করছে।
ধানের শীষের আটককৃতদের মধ্যে আছেন -আব্দুল হামিদ, আবু সাইদ চাঁদ, রেজা আহম্মদ বাচ্চু, মনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খায়রুল কবির খোকন, মনিরুল হক চৌধুরী, আ ন ম শামসুল ইসলাম, হামিদুর রহমান আযাদ সহ ১৬ জন প্রার্থী।
উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে: জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের মোসলেম উদ্দিন, ময়মমনসিংহ-৮ আসনের মাহমুদ হোসেন, ঝিনাইদহ-২ আসনের আব্দুল মজিদ, জয়পুরহাট-১ আসনের ফজলুর রহমান, রাজশাহী-৬ আসনের আবু সাইদ চাঁদ, বগুড়া-৩ আসনের আব্দুল মোহিত তালুকদার ও রংপুর-১।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী এভাবে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার করার কথা ছিলো না। ৮টি আসনে অবৈধ হলো সেখানে আমাদের ধানের শীষের প্রার্থী রইলো না। এটা সরকারি দলকে উপহার দেয়া হয়েছে৷
তিনি আরো জানান, প্রার্থী ঘোষণার পরও ৪ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। ৪০০ জনের অধিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে অবৈধ হওয়া প্রার্থীদের আসনে স্বতন্ত্রদের সমর্থন জানাবে তারা।
তবে কয়েকটি সংসদীয় আসনে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও অধিকাংশগুলোতেই প্রার্থী নেই। ফলে এসব আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এরপর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলছে নয়া রাজনীতিক জোটটি৷
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু অবশ্য বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী শূন্য রয়েছে সেখানে আমাদের নিবন্ধিত দলের বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। তাই এটা নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট উদ্বিগ্ন নয়।
যেসব আসনে বিএনপির প্রার্থী শূন্য সেগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথাও বলছে ঐক্যফ্রন্ট। আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থী অথবা পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানাবে ঐক্যফ্রন্ট।
ধানের শীষ পাওয়া জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর অবৈধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে শেষ পর্যন্ত তারা রক্ষা পেয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিএনপির ২৯২ আসনে বৈধ প্রার্থী রয়েছে৷ এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ নির্বাচন করছেন নিজ দলীয় প্রতীকে আর কক্সবাজার ২ আসনে জামায়াতের হামিদুর রহমান আজাদ স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করবেন।