সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সকল ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও সচেতনতায় মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জোরালো দাবি জানানো হয়।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন: সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ এতোটা প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, ধর্ষণ প্রাত্যহিক কর্মের মতো সাধারণ ঘটনার মত হয়ে যাচ্ছে। মেয়ে শিশু কিংবা যুবতী-বৃদ্ধা কেউই ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সাথে যুক্ত হচ্ছে ধর্ষণের পর হত্যা। এমতাবস্থায় শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরই পারে ধর্ষণ কমাতে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন: ধর্ষণের মতো ঘটনার পর বিচারহীনতা ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আজকের অবস্থার মূল কারণ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সায়মা হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা প্রত্যেক অভিভাবকই চাই ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে থাকুক। নিরাপদে চলাচল করুক।
মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন: ধর্ষণের ঘটনা ঘটার অল্প সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। বিচারের যে দীর্ঘসূত্রিতা এতে অনেকের ধৈর্য থাকেনা।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন: এই ধরনের কর্মকাণ্ড যারা করে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন: দেশে এখন প্রতিবাদ জানিয়ে কাজ হয়না। তাই এর থেকে উত্তরনের জন্য আমাদের শিক্ষকদেরও চিন্তার জায়গায় পরিবর্তন দরকার।
সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন: এমন পৈশাচিক ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ফাঁসির জোর দাবি জানাচ্ছি। আজ আমরা মানববন্ধন করছি। তাতে যদি কাজ না হয়, তবে যদি অন্য কোন পদক্ষেপ নিতে হয় আমরা সকলকে নিয়ে সেটাই করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা গুপ্তার সঞ্চলনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ীতা প্রমুখ।