বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ রায়ে বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় পটুয়াখালী এলাকায় ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল! যা ছিল বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী।’
এই রায়ে বলা হয়, ‘তখন যিনি বা যারা এমন অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তারা সারাজীবন সেই যন্ত্রণা বহন করে যাচ্ছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব মা-বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের ওয়ার হিরো। সময় এসেছে তাদের ওয়ার হিরোর স্বীকৃতি দেয়ার।’
রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সে সময়ে পটুয়াখালীর সার্কিট হাউজ ছিল একটি রেপ ক্যাম্প।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে পটুয়াখালীর পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজকের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন, ইসহাক সিকদার, আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলবী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা।
এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পটুয়াখালীতে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
সোমবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামি পক্ষে আছেন আইনজীবী আ. সাত্তার পালোয়ান। এসময় আসামীরা সবাই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ৮ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠন মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।